Day Dream কি? অ্যান্ড্রয়েডের ডে-ড্রিম মোডের কিছু চমৎকার ব্যবহার। কেন Day dream ব্যবহার করবেন?

অপারেটিং সিস্টেমের ‘ডে-ড্রিম’ ফিচারটি এক প্রকারের ‘স্ক্রিন সেভার’ মোড যা আপনার সেটিংস অনুযায়ী আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি docked অবস্থায় অথবা চার্জের সময় স্বয়ংক্রিয় ভাবে অ্যাকটিভ হয়ে ডিভাইসের স্ক্রিন অন রেখে আপনাকে আপনার চাহিদা মত তথ্য প্রদর্শন করতে পারে। ডেভেলপাররা তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী ডে-ড্রিম অ্যাপলিকেশন তৈরী করতে পারলেও এখন পর্যন্ত ডে-ড্রিম অ্যাপলিকেশনের সংখ্যা খুবই কম। তবে, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি কিছু উপায় যার মাধ্যমে আপনি এই ‘ডে-ড্রিম’ ফিচারটিকে চমৎকার ভাবে কাজে লাগাতে পারেন। তবে, সেই উপায় গুলো শেয়ার করার চলুন এই ‘ডে-ড্রিম মোড’ সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।

Daydrem

মোডযখন আমরা আমাদের ডিভাইসটি ডক অবস্থায় রাখি বা চার্জে দিই তখন সাধারণত ডিভাইসটির স্ক্রিন অফ থাকে। কিন্তু আপনি যদি এই ‘ডে-ড্রিম’ মোডটি অ্যাকটিভ করেন তবে উপরের উল্লেখিত দুই অবস্থায় ডিভাইসের স্ক্রিনটি অফ না থেকে আপনার সিলেক্টেড অ্যাপটি প্রদর্শন করতে থাকবে। ‘ডে-ড্রিম’ফিচারটি মূলত অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 4.2 তে যোগ করা হয়, অর্থাৎ – আপনার ডিভাইসের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন যদি এর নিচে হয় তবে আপনি এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন না। অবশ্য এখনই মন খারাপ করারও কিছু নেই, কেননা আপনি কাস্টম রম ইন্সটল করে দেখতে পারেন; কাজ হলেও হতে পারে। ‘ডে-ড্রিম মোড’ ডিফল্ট ভাবে ডিঅ্যাকটিভেট করা থাকে। আপনি যদি এই ফিচারটি ব্যবহার করতে চান তবে আপনাকে Settings > Display – তে গিয়ে এই ফিচারটি অ্যাকটিভেট করতে হবে।

আপনি এই ফিচারটি অ্যাকটিভেট করার সময় উপরের স্ক্রিন শটের মত আলাদা অপশন পাবেন এবং আপনার পছন্দ মত নানা রকম ডে-ড্রিম অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। যাই হোক, চলুন এবার চমৎকার কিছু ব্যবহার দেখে নেয়া যাক এই ‘ডে-ড্রিম’ মোডটির।

Clock

ডে-ড্রিম মোডটি যাত্রা শুরু করে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৪.২ এবং নেক্সাস ৪ এর হাত ধরেই। এই ফিচারটি সামনে আনার জন্য গুগল সেসময় একটি ডেমো ব্যবহার করেছিল যেখানে দেখা গিয়েছিল, একটি নেক্সাস ৪ ওয়্যারলেস চার্জারের উপর রাখা আছে এবং ডিভাইসের স্ক্রিনে ডে-ড্রিম অ্যাপলিকেশন হিসাবে একটি ক্লক ডিসপ্লে হচ্ছে। আপনিও আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি রাতের বেলায় প্রয়োজনে ঘড়ির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অনায়াসেই। এই ঘড়ির অ্যাপটি মূলত একটি ‘নাইট সেটিংস মোড’ এর উপর ভিত্তি করে তৈরী যার কারণে এটি সময় প্রদর্শন করার সময় ডিভাইসের ডিসপ্লে ডিম করে রাখে।

Dashclock

ড্যাশ ক্লক মূলত ডিফল্ট ক্লকের একটি এক্সটেন্ডেড ভার্সন। ড্যাশ ক্লক একটি জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন এবং এটি ডে-ড্রিম মোড সাপোর্টেড হবার কারণে আপনি ইচ্ছে করলেই এই অ্যাপটিকে আপনার ডে-ড্রিম অ্যাপ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। ডিফল্ট ভাবে ঘড়ির সময় দেখানোর পাশাপাশি এটি আপনি চাইলে আপনাকে ই-মেইল, টেক্সট মেসেজ, মিসড কল এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যও প্রদর্শন করবে। আর এর ফলে আপনি এই ড্যাশ ক্লক ব্যবহারের মাধ্যমেই একই সাথে অনেক গুলো উইজেটের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

Photos

আপনি ইচ্ছে করলে ডে-ড্রিম মোডের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটিকে সাময়িক ভাবে রূপান্তর করতে পারবেন একটি ডিজিটাল ফটো অ্যালবামে। এই অ্যালবামে আপনি মাত্র একটি ছবি থেকে পুরো একটি ফোল্ডার নির্বাচন করে ছবির স্লাইড শো নির্ধারন করতে পারবেন। ডিফল্ট ভাবে ছবির ডে-ড্রিম অ্যাপ হিসেবে গুগল থেকে ‘ফটো ফ্রেম’ এবং ফটো টেবিল অ্যাপ যুক্ত করার থাকে টেবিলে।

Quotes

অনেকেই বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি পড়তে ভালোবাসেন। তাদের জন্যে এই ফিচারটি ভালোই কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি। ডে-ড্রিম মোড আপনাকে র‍্যানডম ভাবে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের সব উক্তি প্রদর্শনে সক্ষম এবং কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের মাঝে সাদা ফন্টে ফুটে ওঠা উক্তি গুলো অন্যরকম আবহ তৈরী করতে সক্ষম বলেই গুগল আশাবাদী।

Flipboard

ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সাথে যুক্ত
থাকতে কে না আগ্রহী? এই আগ্রহের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত গুগল ডে-ড্রিম মোডে ‘গুগল কারেন্টস’ যুক্ত করেছে যার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই নতুন নতুন খবর গুলো আপনার ডিভাইসে পেয়ে যাবেন। তবে, এই ক্যাটাগরীতে অন্যতম একটি জনপ্রিয় অ্যাপ হচ্ছে Flipboard, আর এই অ্যাপলিকেশনটিতেও রয়েছে ডে-ড্রিম মোডের সাপোর্ট; তাই আপনি ইচ্ছে করলেই Flipboard ব্যবহার করতে পারছেন আপনার পছন্দের ডে-ড্রিম অ্যাপলিকেশন হিসেবে।

তাছাড়া আপনি আরো বব্যবহার করতে পারবেন,-Zoum Twitter Daydream – ডে-ড্রিম সাপোর্টেড একটি টুইটার ক্লায়েন্ট অ্যাপলিকেশন। Website Daydream – এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি আপনার নির্ধারিত যে কোন ওয়েব সাইট দেখতে পারবেন ডে-ড্রিম মোডে।Weather Daydream – আবহাওয়ার খবরাদি পাবেন এই অ্যাপটিতে তবে এটি একটি পেইড অ্যাপ।

আশা করি পোস্টটি ভালো লেগেছে।

No comments

Powered by Blogger.